অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় অভিযোগের লিখিত ব্যাখ্যা দিতে ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি মজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন আদালতে হাজির হয়েছেন। শুক্রবার বিকাল ৩টায় ফরিদপুর আদালতে স্বশরীরে হাজির হন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন ও তার আইনজীবী।
এর আগে বৃহস্পতিবার ফরিদপুর ৪-এর নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের অস্থায়ী কার্যালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে তাকে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর প্রেক্ষিতেই তিনি নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির ফরিদপুর ৪-এর চেয়ারম্যান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (২য় আদালত) মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন চৌধুরীর কাযালয়ে হাজির হন।
আদালত থেকে বেরিয়ে নিক্সন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা জনপ্রতিনিধি, মনোনয়পত্র জমার দিন আমি কাউকে দাওয়াত দেইনি। কোথা থেকে এতো লোক এসেছে সেটি আমার পক্ষে জানাও সম্ভব নয়। রিটার্নিং কর্মকর্তার কক্ষে আমি পাঁচজনের বেশি কাউকে প্রবেশ করতে দেইনি। আমার মতো জেলার সব গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীরই সমর্থকরা এসেছেন তার নেতার মনোনয়ন জমা দেওয়া দেখতে।
শোকজের বিষয়ে সাবেক এই এমপি বলেন, আমি নির্বাচন আচরণবিধি মেনেই নির্বাচনে কাজ করবো। দেশের সব জায়গায়ই বিপুল সংখ্যাক লোক সমাগম হয়েছে। কিন্তু শোকজ দেওয়া হলো আমিসহ কয়েকজনকে । এতে ভালো হয়েছে, সব প্রার্থী সাবধান হবে। পরবর্তীতে আমিসহ সবাই নির্বাচন আচরণবিধি মেলে চলবে।
নিক্সন বলেন, সরকার যেহেতু সুষ্ঠু নির্বাচন চাইছে, আমরাও আমাদের কর্মী সমর্থকদের সেভাবে চলার নির্দেশনা দেবো। দেশের গণমাধ্যমগুলো আমার আর সাকিবের কথা বেশি লিখেছে বলেই শোকজটি দেওয়া হয়েছে।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া উপলক্ষে নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে আড়াই শতাধিক মাইক্রোবাস ও দুই শতাধিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে ছাদখোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে শোভাযাত্রা করার অভিযোগ উঠে। এ সময় ওই এলাকায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। এতে সংসদীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে জানানো হয় নিক্সনকে দেওয়া ওই আদেশে।
Leave a Reply